মেদিনীপুর মেডিক্যালে সংক্রমিত স্যালাইন ব্যবহারের ফলে মৃত প্রসূতির বাড়ি গিয়ে তাঁর সদ্যোজাত সন্তানের দায়িত্ব নিলেন রাজ্যেಌর বির꧒োধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে নিহত প্রসূতির স্বামীকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি। সঙ্গে বিপত্নীক দেবাশিস রুইদাসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। নিহত মামণি রুইদাসের সদ্যোজাত সন্তানকে কোলে নিয়ে আদর করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্নে বসে যখন মুখ্যমন্♎ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকদের দায়ী করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করছেন তখন রুইদাস পরিবারের উঠোনে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুবাবু। সেখানে পৌঁছেই সদ্যোজাতকে কোলে তুলে নেন তিনি। নিহত মামণিদেবীর স্বামী দেবাশিস রুদাসকে তিনি বলেন, সরকার মামণিদেবীকে খুন করেছে। যেভাবে আরজি করের নির্যাতিতাকে সরকারি খুন করা হয়েছে, ঠিক সেরকম। আমি আপনার সন্তানের দায়িত্ব নিলাম। আপনি বাবা হিসাবে ওর দায়িত্ব পালন করবেন। আমি আপনার দাদা হিসাবে ওর সব দায়িত্ব নিলাম। আমি আজ ২ লক্ষ টাকার চেক দিয়ে যাচ্ছি। আমি আরও ৮ লক্ষ টাকা দেব। ধীরে ধীরে শিশুটির নামে ফিক্সড ডিপোজিট করে দেব। কিন্তু সরকারি ক্ষতিপূরণ ছোঁবেন না। যতক্ষণ না ৫০ ল🍨ক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও গ্রুপ ডিকে স্থায়ী সরকারি চাকরি আপনাকে দিচ্ছে ততক্ষণ সরকারি ক্ষতিপূরণ নেবেন না। আমি আপনাকে নিয়ে অনেক দূর যাব।
এদিন শুভেন্দুবাবু দাবি করেন, প্রয়াত মামণিদেবীর স্বামী দেবাশিসবাবু ডিসেম্বরেই বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন। তিনি আরও বলেন, বুধবার স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের এক সিনিয়র সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলি। তিনি বলেন ১৩ ডিসেম্বর নয়, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যালসের রিঙ্গার্স ল্যাকটেটে যে সংক্রমণ রয়েছে তা ১০ ডিসেম্বরই জানত রাজ্য সরকার। তার পরেও ওই স্যালাইন বন্ধ করতে কোনও পদক্ষ🐭েপ করেনি সরকার। তাই মামণিদেবীর মৃত্যু প্রাতিষ্ঠানিক খুন।