বাংলার আবাস যোজনায় একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠছে, প্রকৃত উপভোক্তাদের নাম আবাসের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আবার পাকা বাড়ি ও প্রচুর সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও আবাসের তালিকায় নাম থাকছে অনেকের। সম্প্রতি বাংলার আবাস যোজনায় প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকেছে। আর তাতেই প্রকৃত উপভোক্তাদের নাম আবাসের তালিকা থেকে সরিয়ে অন্যদের নাম নথিভ💟ুক্ত করার অভিযোগ🌊 উঠল সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি সামনে আসতে শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর গোপালনগর এলাকার।
আরও পড়ুন: আবাসের টাকা হাতে পেতেই স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন 𝔍৪ গৃহবধূ
এই ঘটনায় বিডিও অফিসের দুই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তাদের বিরুদ্ধে থানার দ্বারস্ত হয়েছেন বিডিও। অন্যদিকে, এ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের যোগ রয়েছে এই দুর্নীতিতে। যদিও অভিযোগে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, প্রকৃত উপভোক্তার নাম আবাসের তালিকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর এই কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছ💝ে বিডিও অফিসের দুই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় বনগাঁ ব্লকের বিডিও কৃষ্ণেন্দু ঘোষ তাদের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলে থানায় এফআইআর করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই কর্মীর নাম সঞ্জয় বোস এবং বিশ্বজিৎ মিত্র। আরও জানা গিয়েছে, ওই দুজন বনগাঁর বিডিও অফিসের সেচ দফতরের চৌকিদার পদে কর্মরত 😼রয়েছেন।
এই দুজনের বিরুদ্ধে মূলত অভিয🌊োগ, তারা দুজনে বনগাঁ ব্লক এলাকায় আবাসের তালিকার সার্ভে🥂 করার দায়িত্বে ছিলেন। সার্ভে করার সময় কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রকৃত উপভোক্তাদের নাম বাদ দিয়ে অন্য তিন জনের নাম ঢুকিয়ে দেয় আবাসের তালিকায। তারা তাদের নাম এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর উপভোক্তার তালিকায় রাখেন। আর যাদের নাম যুক্ত করা হয়েছে তারা বনগাঁ ব্লকের বাসিন্দা। অথচ তারা বাড়ি পাওয়ায় জন্য আবেদনই করেননি। তাদের অ্যাকাউন্টে আবাসের টাকা ঢুকতেই শোরগোল পড়ে যায়। এরপর খোঁজখবর নেন বিডিও। তখন তিনি দুই কর্মচারীর নাম।জানতে পারেন। এরপর গোপালনগর থানায় ইমেল করে অভিযোগ জানান বিডিও। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।