পিজিটি হয়েও ইএনটি সার্জনের পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগ রয়েছে আসফাকুল্লা নাইয়ার বিরুদ্ধে। আরজিকর কাণ্ডে প্রতিবাদী আন্দোলনে সামিল হওয়া এই জুনিয়র চিকিৎসক আন্দোলনের অন্যতম 'মুখ' হয়ে ওঠেন। সেই আসফাকুল্লাকে সদ্য রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল শোকজ করেছে। তাঁর বাড়িতে বিধান🐼নগর থানার পুলিশ তল্লাশিও চালিয়েছে। এবার আসফাকুল্লাকে তলব করল ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।
আসফাকুল্লার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের রামতনু নগর এলাকায়। সেখানে বৃহস্পতিবার গিয়েছিল বিধাননগর থানার পুলিশ। সেখান থেকে বেশ কিছু নথি বের করে নিয়ে যায় পুলিশ। আসফাকুল্লার পরিবারের দাবি, কোনও রকম নোটিস না-দিয়েই এসেছিল পুলিশ। গোটা বিষয়টি নিয়ে সোশ্🌌যাল মিডিয়ায় বক্তব্য় রাখেন আসফাকুল্লা। তিনি সেখানে সাফ অভিযোগ তোলেন,'যেহেতু আরজি কর আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলাম, তাই পুলিশ প্রশাসন আমাকে ভয় দেখাচ্ছে।' এদিকে, রাজ্য মেডিক্যাল কলেজ আসফাকুল্লাকে যে শোকজ করে ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে। গত বুধবারই তাঁকে শোকজ🌠 করা হয়।
এদিকে, সদ্য যে আসফাকুল্লাকে পুলিশের তরফে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তা নিয়ে তিনি ‘আনন্দবাজার’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে আর তিনি যাবেনও। এর আগে, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আসফাকুল্লার বিরুদ্ꦛধে প্রথম অভিযোগটি তোলা হয়। সেখানে অভিযোগ ছিল, সিঙ্গুরে একটি স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া সংস্থার বিজ্ঞাপনে আসফাকুল্লা নিজেকে ‘এমএস’ বলে দাবি করেছেন, যা নিয়ম-বহির্ভূত। আসফাকুল্লাকে ঘিরে একই অভিযোগ ছিল তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। প্রশ্ন ওঠে কোর্স শেষ হওয়ার আগে আসফাকুল্লা নিজেকে কীভাবে ‘এমএস’ লিখতে পারেন? বিষয়টি জানতে চেয়েই আসফাকুল্লার কাছে নোটিস পাঠায় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। শোকজ করা হয় তাঁকে। নোটিসে সাফ জানানো হয়েছে, উত্তর যথাযথ না পেলে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযোগ যদি সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে আসফাকুল্লার চিকিৎসক হিসাবে ডিগ্রিও হারাতে হতে পারে। উল্লেখ্য, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে আসা কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কিছু খোঁজ খবর করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। কাউন্সিল সেই সব তথ্য পুলিশকে দিয়েছে বলে খবর।